Skip to main content

Posts

কুচো মাঠটার পাশে সারি সারি দাঁত মেলে থাকা একটা ছেলেকে দেখতাম। গায়ের রং কালো বা ময়লার আস্তরণ। উদোম গা, একটা ঢোলা প্যান্ট, যাকে একটা কড় দিয়ে বাঁধা। ন্যাড়া মাথা। আমার বয়সীই হবে।  বয়স, বয়স টা গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তায় পাগল বা অসুস্থ দেখাটা এই দেশে অপ্রতুল নয়। একেবারে কচি থেকে একেবারে থুত্থুরো। কিন্তু প্রতিটা বয়সে এসে সেই বয়সের দুর্ভাগা দেখলে সেটা ধাক্কা মারে প্রতিবার।  একটা হাসি, অমন আকর্ণ হাসি দেখলে গা জ্বলে যেত প্রথমে, আজন্ম পাড়াগাঁ আর তার চৌহদ্দি আর তার তেতোভাব আর তার ঘনঘটায় ঐ হাসি চোখ থেকে মরমে, যেতে আর জেত, আর দুপুরমত মনখারাপ আনতে লেগেছিল বড়হওয়া। সে ছিলনা হয়ত আমার ব্যস্ততায়, সে আগলে ছিল একটা আলাদা মাঠ, যার আলোকছটায় আকুলিবিকুলি এখনও যেটুকু আছে পড়ে। তার মৃত্যুসংবাদ পেলাম।  সরাসরি খবর নেওয়ার আর দেওয়ার সাহস এখনও পাইনি।
Recent posts

একদিন চলে যাব তোমায় ছেড়ে , বড্ড কষ্ট দাও এইকথা উল্টো বলে চোখ নামিয়ে রাখে সে মশারির চালে ঝুঁকেআসা ত্রিশ তার আপন জল খুঁড়ে বানায় বিকেলের শেষ মৃত যত তন্তু , তার আষ্টেপৃষ্ঠে থাকে , দাগ বসে যাওয়া নরম মেয়ে বেশ , চুলের গভীর থেকে উঠে আসে বাদামের সওদাগরী গন্ধ , ঘাম জমে ওঠে ভুরুর নীচে , তাকিয়ে থাকার মত মদ খেয়ে নিয়ে প্রেম ফুটপাথে নিজে , খোবলানো গলিতে জোৎস্নামুখো পুরোহিত থামায় তার ভেলা , সার দিয়ে থাকা সেবাদাসীরা একবার জল , একবার হলুদ ছুঁয়ে নিয়ে পাটাতনে বসে দাগ বসে যায় তার আগে , কিছুটা পরে সে কর্কটভয় ঢেকে রাখে রাংতায় হালকা সবুজের সে দিন তিনেকের ছুটি চায়